হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,
ইত্তেফাক ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:১৬
এ খবর সংক্রান্ত বিশ্লেষণ :
তুরস্কের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঁকান ফিদান আগে উর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিল । সে কি জানত না যে সিরিয়ায় তুরস্ক গণ্ডগোল পাকিয়ে ও বিদ্রোহী টেরোরিস্ট গ্রুপগুলোকে সাহায্য করে
বাশার আসাদ সরকারের পতন ঘটালে ইসরাইলের জন্য খুবই সুবিধা হবে এবং এর সদ্ব্যবহার করে সিরিয়ার স্ট্র্যাটেজিক অঞ্চল দখল এবং দেশটির সামরিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো বোমাবর্ষণ করে ধ্বংস করে দিবে এবং সে কাজটাই ইসরাইল আজ সিরিয়ায় বিনা বাঁধায় সিরীয় সামরিক বাহিনী ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ায় খুব সহজেই করে যাচ্ছে এবং এ পর্যন্ত সিরিয়ার ৪৮০ এর অধিক জায়গায় ইসরাইল বোমাবর্ষণ করে সেখানকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সিরিয়ার জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার , ট্যাংক , ভারী অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র , রাডার ব্যবস্থা , নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ , বন্দর , কল - কারখানা , গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি গত কয়েক দিনে বোমাবর্ষণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। এখন তো বাশার আসাদ সরকার নেই। তাহলে এ সব অবকাঠামো , কল - কারখানা , বন্দর , সামরিক সাজ সরঞ্জাম , অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস ও সিরীয় ভূখণ্ড দখলের করার কারণ কী ? কারণ সিরিয়াকে সামরিক অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল ও ভঙ্গুর রাখা যাতে করে সিরিয়া ভবিষ্যতে ইসরাইলের জন্য হুমকি না হয় । এগুলো কি তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঁকান ফীদান ( তুরস্কের সাবেক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা) জানত না বা বুঝতে পারে নি ? এতবড় সাবেক ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঁকান ফীদান যে তা বুঝতে পারে নি তা কি সম্ভব অথচ একজন অল্পবয়সী কিশোরও এ বিষয়টা খুব ভালোভাবে বুঝে ? (তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান)
ও নিজে এবং ওর প্রেসিডেন্ট সুলতান এরদোগান তো আসলে ইসরাইলের পাচাটা ভৃত্য গোলাম স্বরূপ। মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , ইসরাইল ও তুরস্ক মিলে যৌথ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মূলক পরিকল্পনা এঁটে আসলে বাশার আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছে । আর ওদের সাথে সহযোগিতা করেছে আরব আমীরাত সহ সকল রাজতান্ত্রিক আরব দেশ যাদের সাথে হয় সরাসরি অথবা গোপন সম্পর্ক রয়েছে ইসরাইলের। এখন তুরস্কের শাহীন ও বাইরাক্তার ড্রোনগুলো যেগুলো বাশার আসাদের সেনাবাহিনীকে ঘায়েল করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল সেগুলো কেন দখলদার আগ্রাসী অপরাধী ইসরাইলী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে না ? হাকান ফীদান , সুলতান এরদোগান ও তুর্কী সেনাবাহিনী হাইআত তাহরীরিশ শাম ও অন্যান্য টেরোরিস্ট জঙ্গি গ্রুপ গুলোকে কেন ইসরাইলী সেনাবাহিনীর ওপর ড্রোন হামলা চালানোর নির্দেশ দিচ্ছে না ?
কিন্তু ইয়ামানের বীর হুসী আনসারুল্লাহ এবং ইরাকী মুজাহিদরা যথাক্রমে ইসরাইল থেকে ২৩০০ কিলোমিটার এবং ৭০০ - ৮০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ইসরাইলের হাইফা ও বিভিন্ন শহর ও দক্ষিণ ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্য বস্তুর ওপর সফল ড্রোন হামলা চালিয়েছে এই গতকাল শুক্রবার ( ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ) ।
কেন তুরস্ক আগ্রাসী হানাদার দখলদার অপরাধী ইসরাইলী সেনাবাহিনীর ওপর ড্রোন হামলা ও প্রতিরোধ করতে বলছে না দামেশক দখলকারী হাইআত তাহরীরিশ শাম গং দেরকে ?! আর হাইআত তাহরীরিশ শাম নেতা আবূ মুহাম্মদ আল - জূলানী স্পষ্ট বলেছে যে সিরীয় জনগণ আর কোনো দেশের সাথে যুদ্ধে জড়াবে না ; কারণ তারা নাকি খুবই ক্লান্ত ।
এ কথার মানে কী ? ইসরাইল সিরিয়ায় আগ্রাসন চালিয়ে সব কিছু ধ্বংস ও ভূখণ্ড দখল করে নিলেও হাইআত তাহরীরিশ শাম গংরা কিছুই বলবে না । আর তারা কিছুই বলেনি এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ তো দূরের কথা মৌখিক প্রতিবাদ ও নিন্দা পর্যন্ত করে নি তারা । এই হলো তুরস্ক এবং দামেশকের নয়া সরকারের প্রকৃত স্বরূপ ও চেহারা। এরাই প্রকৃত মুনাফিক । এদের মুনাফেকি গাযা ও লেবাননে পরাজিত ও ব্যর্থ ইসরাইলকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা ও প্রয়াস মাত্র । তবে ইনশাল্লাহ ইসরাইলের শেষ রক্ষা হবে না । আর মুসলিম উম্মাহকে প্রকৃত দুশমন এবং খায়েন গাদ্দার মুনাফিকদের সঠিক ভাবে চিনতে হবে।
রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
আপনার কমেন্ট